নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য ও আবর্জনা স্তূপীকৃত, নাজেহাল জনজীবন

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য ও আবর্জনা রাস্তার পাশে স্তুপীকৃত হয়ে আছে। ফলে এক অস্বস্তিকর সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিদেশী পর্যটকদের। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঠমান্ডু শহরের বাইরে নির্ধারিত আবর্জনা ফেলার স্থান (ল্যান্ডফিল্ড) বাঞ্ছারিডানায় চলমান স্থানীয় অধিবাসীদের বিক্ষোভের কারনে রাজধানীর বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পরেছে। বাঞ্ছারিডানার বাসিন্দাদের অভিযোগ সরকার তাদের গ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বিগত কয়েক বছরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

বিক্ষোভকারীদের একজন বিশ্বাস ধুঙ্গানা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা কাঠমান্ডু শহর থেকে আনা আবর্জনা বোঝাই ট্রাকগুলোকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না কারন সরকার বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মানসহ সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেনি। যার ফলে গত কয়েক বছর ধরে ল্যান্ডফিল্ডের আশাপাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল যেতে হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে শিশু, নারীসহ স্থানীয় জনগনের জন্য এই পরিবেশ দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।

ধুঙ্গানা আরও বলেন যে, "কয়েক বছর ধরে গ্রামটি পরিষ্কার রাখার জন্য সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবংআমরা বাধ্য হয়ে এই রকম জঘন্য পরিবেশে শূকরের মতো জীবনযাপন করে যাচ্ছি।" তাই গত সপ্তাহে গ্রামবাসীরা বাঞ্ছারিডানা যাওয়ার রাস্তায় পাথরের স্তুপ তৈরি করে পথ অবরোধ করে রাখে। ফলে আবর্জনা বোঝাই অন্তত ২০০ ট্রাক ল্যান্ডফিল সাইটে প্রবেশ করতে না পেরে কাঠমান্ডু শহরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। ফলস্বরূপ রাজধানী শহর জুড়ে বর্জ্য ও আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়েছে যা দিন দিন শহরের বাসিন্দাদের জন্য অসহনীয়  হয়ে উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে যে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে পাথর ছুড়তে শুরু করলে এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

সুনীল লামসাম নামের এক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে বাঞ্ছারিডানা গ্রামবাসীর সঙ্কট নিরসনে তারা কাজ করছেন। তিনি বলেন, "এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য আমরা বিক্ষোভকারীদের আলোচনার আমন্ত্রন জানাবো।"

অনেকেই মনে করছেন অপরিষ্কার রাজধানী শহরবাসীর জন্য যেমন অসম্মানজনক তেমনি পর্যটন-নির্ভর নেপালের অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকারক। বিশেষ করে করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার এই সময় নেপাল যেখানে নানাভাবে পর্যটক আকর্ষণে আগ্রহী তখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা দেশটির অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

সূত্রঃ 

https://www.reuters.com/world/asia-pacific/nepals-capital-piles-garbage-put-off-tourists-residents-2022-06-09/?fbclid=IwAR1yt90RgxDZv1jHIoI-ZU49SX57svUkTQznM59vYzWypLdcwP9_g5hWvA8

Comments

  1. সর্বদা পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশের দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের চলতে হবে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

Indian Cinema Industry Suffering During Covid Situation

Welcome to Hobby Economist Blog

Wealth Gap during Corona Virus Days